তোপসে ও তোপসের বাবার সাথে ফেলুদা লখনউয়ের বড়া ইমামবাড়ার নিকট বসবাসরত তাদের অ্যাডভোকেট আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যায়। সেখানে তারা ডা. শ্রীবাস্তবের সাথে দেখা করেন, যার বাড়িতে সম্প্রতি ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। তার বন্ধু পেয়ারেলাল কর্তৃক প্রদত্ত একটি অমূল্য আংটি চুরির উদ্দেশ্যেই চেষ্টাটি করা হয় বলে সকলে ধারণা করে। আংটিটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের। আবারও ডাকাতির ভয়ে তিনি এটাকে তার বন্ধুর বাসাতে রেখে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে থেকেও আংটিটি চুরি যায়। এরমধ্যেই ফেলুদা ডাক্তারের প্রতিবেশী বনবিহারীবাবুর সাথে দেখা করেন, যিনি নিজের বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা নির্মাণ করে সেখানে কুমির, আফ্রিকান বাঘ, হায়েনা, র্যাটলস্নেক, কাঁকড়াবিছে ও ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা পোষেন। ফেলুদা পেয়ারেলালের ছেলে মহাবীরের সাথেও দেখা করেন। মহাবীর একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অনেকে মনে করেন তার বাবার মৃত্যুর পিছনে তারও হাত থাকতে পারে। এরমধ্যে তারা লক্ষ্ণণ ঝুলা মন্দির, হরিদ্বার যান।
এরমধ্যেই প্রকাশিত হয়ে যায় যে আংটিটি আসলে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ফেলুদাই নিজের কাছে রেখেছেন। এক যাত্রাপথে ফেলুদা ও তোপসে বনবিহারীবাবুর গাড়িতে করে যায়, এবং তখনই জানা যায় যে বনবিহারী বাবুই এর পিছনের মূল হোতা। সে ফেলুদা ও তোপসেকে আটকে ফেলে। কিন্তু ফেলুদা তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মরিচের গুঁড়া অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বনবিহারীবাবু ও তার সহকারী গণেশ গুপ্তে আটক করে।
তোপসের কমবয়সকালীন সময়ে বাদশাহী আংটির মত আর কোনও রোমাঞ্চকর উপন্যাস নেই।
উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
Thanks for the review
ReplyDeleteThanks Vaiya
ReplyDelete